রিপোর্ট প্রিন্ট

টিউনটি শেয়ার করুনঃ



প্রযুক্তির অভাবে আবারও বিতর্কিত অ্যাশেজ

 অ্যাশেজ মাঠে গড়িয়েছে মাত্র ৩ দিন হল। কিন্তু এরই মাঝে দ্বিতীয়বারের মত তর্ক ছড়াল টেস্ট ক্রিকেটের ধ্রুপদী এই লড়াইয়ে। আগেরবারের মত এবারও বিতর্কের কারণ প্রযুক্তির অভাব।

 


 আগের মত এবারও ইংল্যান্ডের পক্ষে আগত আম্পায়ারের ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত, এমন দাবি অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার বিশাল লিডের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড তৃতীয় দিন ভালো সমর উপহার দিয়েছে। ১৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জো রুট ও ডেভিড মালান দলকে দেখাচ্ছে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন।

 

রুটের মত মালানও আছেন শতকের রাস্তায়। দিন পার করেছেন ৮০ রানে অপরাজিত থেকে। কিন্তু মালান নিজ ১৬ রানেই সাজঘরে ফিরতেন, দাবি করছে অস্ট্রেলিয়া।

 

পার্সোনাল ১৬ রানে থাকাকালে জশ হ্যাজলউডের বলে মালান ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে। তা সত্ত্বেও ৩য় আম্পায়ার নট আউটের ইশারা দেন, যা এর আগে দিয়েছিলেন অন ফিল্ড আম্পায়ারও। স্নিকোমিটার আচরণ করা যাচ্ছে না এই টেস্টে, তৃতীয় আম্পায়ার তাই পুরোপুরি নিশ্চিত থেকে পারেননি বল সত্যিই ব্যাট ছুঁয়েছিল কি না।

ফলে বৃথা যায় অস্ট্রেলিয়ার রিভিউ। মালানকে সাজঘরে ফেরাতে পারলে অজিরা ম্যাচে আরও অধিক দাপট দেখাতে পারত- এতে কোনো খটকা নেই।

 


 অ্যাশেজের মত সিরিজে স্নিকোমিটার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং। একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ দুই টেকনোলজি নেই। খেয়াল করলে দেখবেন, ব্যাটের কানায় বল ছোঁয়া করেছিল।’

কুইন্সল্যান্ডের সীমান্তে করোনাকালীন কড়াকড়ির কারণে স্নিকোমিটার প্রযুক্তি আনা পসিবল হয়নি গ্যাবা টেস্টে। সেইমভাবে আনা যায়নি ওভারস্টেপিং নো-বল শনাক্তকরণ প্রযুক্তিও। যার কারণে ২য় দিনের খেলায় বেন স্টোকস ১৪টি নো-বল করলেও ১২টিই আম্পায়ারের নয়ন এড়িয়ে যায়!

গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রযুক্তিবিহীন এ ডিআরএসকে অপ্রয়োজনীয় বলে আখ্যায়িত করছেন অনেকে। এ নিয়ে টুইটারে ঘটমান আলোচনা-সমালোচনা।

0/আপনার মতামত জানান